ই-কমার্স প্রতারণার শিকার হলে আইনগত প্রতিকার কি? (পর্ব-২ সাইবার প্রতারণা)

আইনগত অধিকার প্রতারণা
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আলোচনার বিষয়ঃ অনলাইনে (ই-কমার্স) কোন কিছু ক্রয় করে কিংবা ক্রয় করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলে আইনগত প্রতিকার কি?

ই-কমার্স প্রতারণার ধরণঃ একটি বিষয় স্পষ্ট, যে জাতি যত বেশী উন্নত সে জাতির প্রতারকরা তত বেশী ধুর্ত। ই-কমার্স প্রতারণার মূল বিষয়বস্তু হলো লোভনীয় বিজ্ঞাপন। এরূপ প্রতারণার কয়েকটি ধরণ উল্লেখ করছি-
  • ব্রান্ড নিউ R15 V3 মোটরবাইক মাত্র ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায়।
  • লক্ষ টাকার মোবাইল সেটের দাম মাত্র ৫০-৬০ হাজার টাকা।
  • এছাড়াও প্রায় সকল প্রকার পণ্যে ৫০-৭০% পর্যন্ত ছাড়।

কি দারুন তাই না? এর থেকে চমৎকার অফার আর কি হতে পারে। কিন্তু এখানে কিছু শর্ত থাকে যেমন- হতে পারে পণ্যের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং অফারের টাকাটি অফার দাতার নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে (ভার্চুয়াল ওয়ালেট) থাকবে সেখান থেকে নতুন করে পণ্য কিনতে পারবেন। আবার হতে পারে পণ্যের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে ৪৫ কার্যদিবস কিংবা ১০ কার্যদিবস অপেক্ষা করতে হবে। এমন হাজারো গোপন শর্ত থাকতে পারে।

আপনি যেভাবে প্রতারিত হচ্ছেনঃ আপনি প্রতারিত হতে পারেন সময়মতো পণ্য না পেয়ে, অর্ডারের পণ্যের পরিবর্তে অন্য পণ্য পেয়ে, ভাঙা পণ্য পেয়ে, অফারের বিপরীতে চেক পেয়ে সেটি সঠিক সময় ক্যাশ করতে না পেরে ইত্যাদি।

আপনি যেভাবে ভুল করছেনঃ আপনি প্রথম ভুল করেছেন এই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে। এরপরে আপনি প্রতারিত হয়ে আইনের সাহায্য না নিয়ে ভুল করছে। আর আইনের সাহায্য নিচ্ছেন না এই ভেবে যে- কোম্পানি অনেক বড়, সব যায়গায় টাকা খাইয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে। আমি লোভ করেছি তাই বিপদে পরেছি এটা কাউকে বলতেই পারবো না। আবার আপনি যখন কোন Legal Action নিতে যাবেন তখন কতিপয় ব্যক্তি বলবে কোন লাভ নাই ইত্যাদি ইত্যাদি; একবার ভাবুনতো যারা এটি বলছে তারা কি আইনজীবী না আইন বিশেষজ্ঞ? আপনি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে যান, নিশ্চয়ই এই টাইপের বিশেষজ্ঞদের কথা শুনেন না। তাহলে আইনগত জটিলতায় পড়লে কেন বিজ্ঞ আইনজীবীর কাছে যান না?

আপনি আরও ভাবছেন ভুল আপনি করেছেন খেসারতও আপনাকেই দিতে হবে। কিন্তু আমি বলছি- এটা আপনার ভুল নয় এটা আপনার সরলতা; আর সেই সরলতাকে পুঁজি করেই আপনার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে যা বাংলাদেশের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ

আইনগত প্রতিকারঃ এ ক্ষেত্রে আপনি Special Law, General Law এবং Civil Law-তে আইনগত প্রতিকার পেতে পারেন।

আইন সংক্রান্ত কোন বিষয় জানতে চাইলে আপনার প্রশ্নটি আমাদেরকে জানান; প্রশ্ন জানাতে এখানে ক্লিক করুন

Special Law:

Special Law হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯। এই আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন ১২টি বিষয় রয়েছে। বর্তমান ই-কমার্স প্রতারণার বিষয়টি মাথায় রেখে আমি এর মধ্যে আমি দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি-

  1. কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা;
  2. প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা।

বর্তমান ই-কমার্স প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযোগ দায়ের করার জন্য এই দু’টি বিষয়ই যথেষ্ট। যেমন- বিক্রয় বিজ্ঞাপনে ১০ কার্যদিবস কিংবা ৪৫ কার্যদিবস (অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন) উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দিলেও কখনোই এই সময়ের মধ্যে ডেলিভারি (সঠিক পণ্য এবং সঠিক সময় সরবরাহ না করা) সম্পন্ন করে না। এরূপ অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে উল্লেখিত আইনের ৪৪ এবং ৪৫ ধারায়। যা নিম্নরূপ-

ধারা ৪৪ঃ মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিবার দণ্ড- কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনূর্ধ ০১ (এক) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ধারা ৪৫ঃ প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিবার দণ্ড- কোন ব্যক্তি প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিলে তিনি অনূর্ধ ০১ (এক) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।”

যেখানে অভিযোগ দায়ের করা যাবে

  • মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১ কারওয়ান বাজার (টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা, ফোন: +৮৮০২ ৮১৮৯৪২৫
  • জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র,  টিসিবি ভবন- ৯ম তলা, ১ কারওয়ান বাজার ঢাকা, ফোন: ০১৭৭৭ ৭৫৩৬৬৮, ই-মেইল: nccc@dncrp.gov.bd  
  • উপ পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টিসিবি ভবন, বন্দরটিলা, চট্টগ্রাম, ফোন: ০৩১-৭৪১২১২
  • উপ পরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শ্রীরামপুর, রাজশাহী, ফোন: +৮৮০৭ ২১৭৭২৭৭৪
  • উপ পরিচালক, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টিসিবি ভবন, শিববাড়ী মোড়, খুলনা, ফোন: ০৪১-৭২২৩১১
  • উপ পরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মহিলা ক্লাব ভবন, বরিশাল, ফোন: +৮৮০৪ ৩১৬২০৪২
  • উপ পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট ফোন: ০৮২১-৮৪০৮৮৪
  • উপ পরিচালক, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, রংপুর, ফোন: ০৫২১-৫৫৬৯১
  • প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

যেভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হবে

  • দায়েরকৃত অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
  • ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে; বা
  • অন্য কোন উপায়ে;
  • অভিযোগের সাথে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ সংযুক্ত করতে হবে।

অভিযোগকারী তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করবেন।

(অভিযোগ ফরম ডাউনলোড করুন)

এই ব্লগে আপনার নিজের লেখা আর্টিকেল প্রকাশ করতে আমাদেরকে পাঠান; আর্টিকেল পাঠাতে এখানে ক্লিক করুন

এই আইনে অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ধারা ৭৬ এর বিধান অনুযায়ী অভিযোগকারীকে (ভোক্তা হলেও কিংবা ভোক্তা না হলেও) আরোপিত জরিমানার ২৫% তাৎক্ষণিকভাবে (জারিমানা আদায় হওয়ার সময়) প্রদান করতে হবে।

তবে এই আইনে অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে- ধারা ৬০ এর বিধান অনুযায়ী অভিযোগের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।

মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলাঃ ধারা ৫৪ এর বিধানমতে কোন ব্যক্তি মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করিলে উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ ০৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অধীন সকল অপরাধ জামিনযোগ্য, আমলযোগ্য ও আপোষযোগ্য।

একজন ক্ষতিগ্রস্থ ভোক্তা উল্লেখিত মামলা করার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৬৬ ধারার বিধান অনুযায়ী ক্ষতির ৫গুণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবী করে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে Money Suit করতে পারবেন।

General Law:

এছাড়াও একজন ভুক্তভোগী General Law তে মামলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে Penal Code, 1860 এর ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো- মামলা দায়ের করার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।

ধারা ৪০৬ঃ অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের দণ্ড- কোন ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে, তবে সে ব্যক্তি অনধিক ০৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

ধারা ৪২০ঃ প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করার দণ্ড- কোন ব্যক্তি যদি প্রতারণা করে এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে অসাধুভাবে অপর কোন ব্যক্তিকে কোন সম্পত্তি অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে অথবা অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে এমন কোন স্বাক্ষরিত বা সীল মোহরযুক্ত বস্তুর সমুদয় অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে যা মূল্যবান জামানতে রূপান্তরযোগ্য, তবে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ০৭ (সাত) বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হইবেন।

যেভাবে General Law তে মামলা দায়ের করতে হবে

  • General Law তে মামলা করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হবে যা লিখে বা বলে বুঝানো অসম্ভব বটে এবং এগুলো একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর কাজ। তাই General Law তে মামলা করতে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর স্মরণাপন্ন হতে হবে; তিনিই আপনার মামলা সংক্রান্ত সকল কাজ করে দিবেন।

পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ধারা ৪০৬ এর অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং ধারা ৪২০ এর অপরাধ জামিনযোগ্য।

Civil Law:

উল্লেখিত Special Law এবং General Law তে মামলা করার পাশাপাশি একজন ভুক্তভোগী দেওয়ানী আদালতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে পারবেন।

যেভাবে Civil Law তে মামলা দায়ের করতে হবে

  • Civil Law তে মামলা করতে হবে দেওয়ানী আদালতে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হবে যা লিখে বা বলে বুঝানো অসম্ভব বটে এবং এগুলো একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর কাজ। তাই এক্ষেত্রেও আপনাকে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর স্মরণাপন্ন হতে হবে; তিনিই আপনার মামলা সংক্রান্ত সকল কাজ করে দিবেন।

 

ই-কমার্স প্রতারণা প্রতিহত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রণালয় ৪ জুলাই, ২০২১ ইং তারিখে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা, ২০২১ প্রকাশ করেন, যা অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে। উক্ত নির্দেশিকা থেকে মাত্র দু’টি বিষয় তুলে ধরছি। যথা-

  1. পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পণ্য ডেলিভারি ম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার নিকট হস্তান্তর করতে হবে।
  2. পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ হয়ে থাকলে ক্রেতা বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে; আর ক্রেতা বিক্রেতা ভিন্ন শহরে অবস্থান করলে সর্বোচ্চ ১০(দশ) দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে।

এরূপ আরো অনেক শর্ত রয়েছে। বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে সকল শর্ত মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজন হলে একজন Legal Advisor নিয়োগ দিতে হবে বিজনেস সম্পর্কিত প্রতিটি স্টেপ নেয়ার আগে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে Legal Advisor এর সাথে। অন্যথায় ছোট একটি ভুলেই নিমিষেই শেষ হয়ে যেতে পারে ই-কমার্স বিজনেস। সেই সাথে অর্থদণ্ড কিংবা অতিরিক্ত ভোগান্তিতেও পড়তে হতে পারে।

আলোচকঃ
মো. এস এইচ সোহাগ,
আইনজীবী, জজ কোর্ট, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *